নাইজেরিয়ায় এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর অপহরণ করা অন্তত ৮০ শিক্ষার্থীর খোঁজে অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। শুক্রবার জঙ্গলের ভেতর থেকে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচ শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষককে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে নিরাপত্তা বাহিনী। খবর রয়টার্সের।
গত বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় কেব্বি রাজ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি সরকারি স্কুলে হামলা চালিয়ে একঝাঁক শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে অপহরণ করে বন্দুকধারী দুষ্কৃতরা।
উসমান আলিয়ু নামে এক স্কুলশিক্ষক জানিয়েছেন, বন্দুকধারীর কমপক্ষে ৮০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই মেয়ে।
পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, অপহৃতদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষকও রয়েছেন। তবে ঠিক কতজনকে অপহরণ করা হয়ে তা নিশ্চিত করেনি তারা।
অপহৃতদের সন্ধানে আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেছে নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী। এতে সহযোগিতা করছে বিমানবাহিনীও।
নাইজেরীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ওনিমা নোয়াচুকু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দস্যুদের অনুসরণ করতে থাকা সেনা সদস্যরা জঙ্গলের ভেতর থেকে এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এছাড়া শুক্রবার সকালে দস্যুদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের পর আরও কয়েকজন মুক্ত হয়েছেন।
নোয়াচুকু জানান, বাকি অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য সেনারা এখনো অপহরণকারীদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। অভিযানে আট শতাধিক গবাদি পশুও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি নাইজেরিয়ায় তৃতীয় গণঅপহরণের ঘটনা। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত একাধিক ঘটনায় দেশটিতে আট শতাধিক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতরা। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মুক্তি পেলেও বাকিরা এখনো নিখোঁজ।
দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের।