রাশিয়া বিমানে ইউক্রেনের পতাকা লাগিয়ে বেলারুশে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ। শুক্রবার (১১ মার্চ) বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো মস্কো সফরে যান। এদিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দফতরের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়।
কিয়েভের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধে বেলারুশকে জড়াতেই এমন কৌশল অনুসরণ করছেন পুতিন।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ১১ মার্চ তাদের সীমান্তরক্ষীদের পাওয়া তথ্যানুযায়ী, রুশ যুদ্ধবিমান বেলারুশের একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে ইউক্রেনের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে বেলারুশের গ্রাম কোপানিতে গুলিবর্ষণ করে। এ ছাড়া ওই একই অভিযানে দেশটির আরও দুটি বসতি লক্ষ্যবস্তুতে রাখা হয়েছিল। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মস্কো সফরের দিনই এ তথ্য উঠে আসে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের সময় বিভ্রান্তি তৈরির অংশ হিসেবে ‘মিথ্যা পতাকা’ ব্যবহার করতে পারে বলে কয়েকটি পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাও সতর্ক করেছিল। এ সময় বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীকে ইউক্রেন যুদ্ধে সম্পৃক্ত করতেই মস্কো এমন উসকানি দিচ্ছে দাবি করে কিয়েভ।
তবে মিনস্কের সঙ্গে কোনো সংঘাত চায় না বলে সাফ জানিয়েছে ইউক্রেন। এক বিবৃতিতে বেলারুশের উদ্দেশে ইউক্রেন বলেছে, এ ধরনের অপরাধমূলক যুদ্ধে নিজেদের সম্পৃক্ত করা থেকে বিরত থাকতে।
এদিকে ইউক্রেনের ওই বিবৃতি ও বেলারুশের গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টিকে উদ্ভট ও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়া ইউক্রেনে চালানো সামরিক অভিযানে ১৩ হাজার সেনা হারিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার (১৩ মার্চ) ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আবারও রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান তুলে ধরা হয়।
এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি জানান, এ যুদ্ধে রাশিয়ার ১ হাজার সামরিক যান, ৭৪টি যুদ্ধবিমান এবং ৮৬টি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও অভিযোগ করেন, মারিওপোলের ৮০ কিলোমিটার দূরে খাদ্য, পানি, ওষুধ নিয়ে একটি ত্রাণবহর অপেক্ষা করছে। কিন্তু রুশ বাহিনী তা আটকে দিয়েছে।
পিএসএন/এমঅাই