প্রার্থিতা বাতিলের ভয় দেখিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার হোমনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের কথা ছিল বিল্লাল মেহেদীর। তার স্থলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বরুড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল ইসলামকে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ নির্বাচনের জন্য মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় হোমনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীকে।
৬ জানুয়ারি ওই তিন ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ছিল। ওই দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদী তার কক্ষে একে একে বিভিন্ন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যকে ডেকে আনেন।
এ সময় তিনি বিভিন্ন হারে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। অন্যথায় প্রার্থিতা বাতিল করার হুমকি দেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা অভিযোগ করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার ও কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুঞ্জুরুল আলম এই কর্মকর্তাকে শোকজ করেন। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পান। পরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে বিষয়টি জানানো হয়।
গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
পিএস/এনআই