বগুড়ায় কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ীরা সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। বগুড়ার সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত সার মজুদ থাকার পরেও এসব করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানে অবৈধভাবে ৭৪০ বস্তা রাসায়নিক সার মজুদ করায় এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের মহাস্থান গো-হাটির পশ্চিমপাশে একটি গোডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা।
এ সময় সার ব্যবসায়ী ফরহাদ উদ্দিনের গোডাউনে অবৈধভাবে মজুদকৃত প্রায় ৭৪০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। যার মধ্যে টিএসটি ৪০০ বস্তা, এমওপি (পটাশ) ৪০ বস্তা ও ডিএপি ৩০০ বস্তা। অবৈধভাবে সার মজুদের দায়ে ফরহাদ উদ্দিনের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উদ্ধার হওয়া সারের আনুমানিক মূল ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা জানান, মহাস্থান শাহ সুলতান আলীম মাদ্রাসার পেছনে গোপন গোডাউনে কালোবাজারে বিক্রির জন্য অবৈধভাবে সার মজুত করা হয়েছে। এমন সংবাদ এর ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে অবৈধভাবে সার মজুদ করায় সার ব্যবস্থাপনা ২০০৬ আইনের ১২ ধারায় ব্যবসায়ী ফরহাদ উদ্দিনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত সার কৃষি উপজেলা কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারি মূল্যে কৃষকদের নিকট বিক্রয়ের জন্য তাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
পি এস / এন আই