বঙ্গবন্ধু পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের সদস্যদের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দেখার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন দলটির নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলরা যাতে রাজনীতি থেকে বাদ না পড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে সেদিকে খেয়াল রাখারও অনুরোধ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
তবে নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা সন্তানদের ব্যাপারে বলেছেন, তারা এখন পরিপক্ব। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া তাদের ইচ্ছার ব্যাপার। এ বিষয়ে তিনি জোর খাটাবেন না।
শনিবার (১৭ডিসেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় জয়-পুতুলকে নিয়ে একাধিক নেতা এমন দাবি জানালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
জাতীয় কমিটির বৈঠকের শুরুতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সূচনা বক্তৃতা করেন। এরপর নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় কমিটির বৈঠকে জেলা পর্যায়ের প্রবীণ সদস্যদের বেশি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সভা শেষেও প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, অধিকাংশ বক্তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের কাজের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তারা ভবিষ্যতেও শেখ হাসিনাই যাতে দল ও সরকারের নেতৃত্বে থাকেন, সেই ইচ্ছার কথা বলেন।
জানা গেছে, একাধিক সদস্য প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দলীয় পদে আনার দাবি করেন।
জানা যায়, সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির একাধিক নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নতুন প্রজন্মের সদস্যদের রাজনীতিতে আসা দরকার। তারা যেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়টি দেখতে হবে।
নেতাদের কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনীতি করা তাদের বিষয়। জয় ও পুতুল পরিপক্ব। সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া না হওয়ার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি তাদের ওপর কোনো জোর খাটাবেন না।
তিনি আরও বলেন, তারা সবাই লেখাপড়া শিখে বড় হয়েছে। এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। তারা যদি রাজনীতি করতে চায় করবে। তাদের রাজনীতি করার ক্ষেত্রে তো কোনো বাঁধা নেই।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয়। এরআগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তাকে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিরও সদস্য করা হয়।


