এই সাইটটি ভিজিটের মাধ্যমে এই সাইটের সকল প্রাইভেসি শর্তসমূহ আপনি সমর্থন করছেন
Accept
Protidin Shebok NewsportalProtidin Shebok Newsportal
Notification Show More
Aa
  • জাতীয়
    • ঢাকা
    • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খুলনা বিভাগ
    • উপজেলা
    • খুলনা জেলা
    • বাগেরহাট
    • সাতক্ষীরা
    • যশোর
    • মাগুরা
    • চুয়াডাঙ্গা
  • খেলাধুলা
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • রুপচর্চা
    • ধর্ম
    • সফলদের গল্প
    • রাজনীতি
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • আদালত
    • চাকরি-বাকরি
    • টেক নিউজ
    • বিচিত্র
    • ফিচার
  • বিনোদন
Reading: বসুন্ধরার যন্ত্রপাতিতেই চলবে মহাখালী করোনা হাসপাতাল
Aa
Protidin Shebok NewsportalProtidin Shebok Newsportal
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • খুলনা বিভাগ
  • খেলাধুলা
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
  • বিনোদন
খুঁজুন
  • জাতীয়
    • ঢাকা
    • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খুলনা বিভাগ
    • উপজেলা
    • খুলনা জেলা
    • বাগেরহাট
    • সাতক্ষীরা
    • যশোর
    • মাগুরা
    • চুয়াডাঙ্গা
  • খেলাধুলা
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • রুপচর্চা
    • ধর্ম
    • সফলদের গল্প
    • রাজনীতি
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • আদালত
    • চাকরি-বাকরি
    • টেক নিউজ
    • বিচিত্র
    • ফিচার
  • বিনোদন
Follow US
Protidin Shebok Newsportal > Blog > জাতীয় > বসুন্ধরার যন্ত্রপাতিতেই চলবে মহাখালী করোনা হাসপাতাল
জাতীয়

বসুন্ধরার যন্ত্রপাতিতেই চলবে মহাখালী করোনা হাসপাতাল

Last updated: ২০২১/০৪/১৩ at ২:০০ অপরাহ্ণ
সিনিয়র এডিটর Published এপ্রিল ১৩, ২০২১
Share
SHARE

এক বছরের বেশি সময় ফেলে রাখার পর অবশেষে দুয়ার খুলছে রাজধানীর মহাখালী করোনা হাসপাতালের। বসুন্ধরায় নির্মিত অস্থায়ী করোনা হাসপাতালকে ভেঙে জোড়া দেওয়া হচ্ছে এখানে।ওখানকার যন্ত্রপাতি এনে মহাখালী আইসোলেশন সেন্টারকে সাজানো হচ্ছে নতুন আদলে।  

আইসোলেশন সেন্টার থেকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দিয়ে নতুন নামকরণ করা হবে। আগামী ২০ এপ্রিল করোনারোগীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভবে এই হাসপাতালের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মহাখালী করোনা হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে পরিপূর্ণ ১০০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও প্রায় সমমানের হাই ডিপেনডেনসি ইউনিট (এইচডিইউ) শয্যা থাকছে ১২২টি। এছাড়া সাধারণ শয্যা থাকছে প্রায় ১ হাজার।  

তিনি বলেন, ১৫ এপ্রিল নাগাদ অন্তত ৫০টি আইসিইউ ও ২৫০টি সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি শুরু করা যাবে। বাকিগুলোর কাজ চলতে থাকবে।  

তিনি বলেন, আশা করছি চলতি মাসের শেষ দিকে পুরো হাসপাতালটি প্রস্তুত হয়ে যাবে পূর্ণাঙ্গ কোভিড বিশেষায়িত সেবার জন্য। এই হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ।

পরিচালক বলেন, এই হাসপাতাল ভবনটি সিটি করপোরেশনের। হাসপাতালটির যন্ত্রপাতি, জনবলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অবকাঠামোগত প্রস্তুতির কাজ বাস্তবায়ন করে দিচ্ছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় থাকছে আর্মস ফোর্সেস মেডিক্যাল ডিভিশন। ৭শ চিকিৎসকের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং ৫০ জন ইতোমধ্যেই নিয়োগ হয়েছে। বসুন্ধরায় নির্মিত অস্থায়ী হাসপাতাল ভেঙে সেখান থেকে উন্নত যন্ত্রপাতি এনে এখানে বসানো হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে যা দেখা যায়, হাসপাতালটির গেটে একটি ব্যানার ঝুলানো রয়েছে তাতে লেখা অস্থায়ী কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য পরিচর্যা (আইসোলেশন) কেন্দ্র। গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়লো নিচতলায় সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে গত বছরের ২০ জুলাই থেকে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার চিত্র। তবে, ঢোকার সময়ে করোনা এড়াতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা তাপমাত্রা মেপে ভেতরে ঢোকানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। বাইরে থেকে যারা আসছেন সরাসরি ঢুকে পড়ছেন ভেতরে।

মোট ২০টি বুথ স্থাপনের মাধ্যমে ওই কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও ৫-৬টি বুথে নমুনা পরীক্ষা করতে দেখা গেছে। বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, নারী ও বিদেশি নাগরিকদের জন্য পৃথক নমুনা সংগ্রহ বুথ নির্ধারণ করা হলেও সেই ধারাবাহিকতা না মেনে যে যেখানে সুযোগ পাচ্ছেন সেই বুথে নমুনা দিচ্ছেন।

কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না জানতে চাইলে ৫ নম্বর বুথের টেকনোলজিস্টের বক্তব্য- নমুনা এক বুথে নিলেই তো হলো। তাহলে কেন আলাদা করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকটাই বিরক্ত টেকনোলজিস্ট সজীব।

এখানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদেশ যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা সংগ্রহ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা।

নমুনা পরীক্ষা ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে ৩ হাজার ৫৩৫ টাকা।

ভবনের ছয়তলায় করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ প্রস্তুত করা হচ্ছে। একটা সারির কাজ শেষ। ভেতরে থরে থরে সাজানো আইসিইউ বেড। যেগুলো বসুন্ধরা করোনা আইসোলেশন সেন্টার থেকে এনে এখানে লাগানো হয়েছে। বেডের সঙ্গে পিসিআর যন্ত্রপাতি সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। অন্য সারিতে চলছে ইলেকট্রনিক কাজ। বেড সাজানো হয়নি, ডেকোরেশনের কাজও অনেক বাকি। শ্রমিকরা কাজ করছেন, ক্লিনাররা ঘষামাজা করছেন। কক্ষগুলোতে শয্যা বসানো হলেও যন্ত্রপাতি নেই। যন্ত্রপাতি ও খাবার রাখার ট্রলি নেই। করোনা নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রতিটি তলায় ৩টি করে বুথ বসানো হয়েছে। তবে বুথের ভেতরেও ফাঁকা। চিকিৎসকদের জন্য প্রতিটি ব্লকে ২টি করে আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। চেয়ার, টেবিল বা মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মোটামুটি সব প্রস্তুত। বাথরুমে পানির লাইনে সংযোগ থাকলেও দরজাগুলো ফিটিং হয়নি এখনো।  

শ্রমিকরা বলেন, এখনো টেকনিক্যাল অনেক কাজ বাকি। তবে, অনেক বিষয়েই মুখ খুলতে রাজি হননি তারা। ভবনের দোতলায় ১৩৯০ বেডের হাসপাতালের জায়গায় ৫০ বেডের ইমার্জেন্সি বেড প্রস্তুত করা হচ্ছে। যার ৩০টি নারী এবং ২০টি পুরুষ রোগীর জন্য। জরুরিভিত্তিতে রোগী ভর্তি ও পরে আইসিইউতে নেওয়ার আগে এখানে রাখা হবে।

হাসপাতালটির বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ উদ্দিন মিয়া বলেন, কেবল মহাখালীর হাসপাতালই নয়, এর সঙ্গে আরো ১০টি হাসপাতালকে করোনা রোগীদের সেবায় বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করা হলেও সংক্রমণ কমে যাওয়ায় তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে, গত সপ্তাহ থেকে ওই হাসপাতালে আবার আগের মতোই ২০০ শয্যার কোভিড ইউনিট চালু হয়েছে।  

বসুন্ধরা হাসপাতালটিকে কেন ভেঙে ফেলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বুঝতে হবে- ওটা হাসপাতাল নয়; আইসোলেশন সেন্টার ছিলো। মাঝে করোনা পরিস্থিতি কমে যাওয়ায় ওখানে কোনো রোগী যেত না। খালি পড়ে থাকার কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওখানকার যন্ত্রপাতিগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানোর।

জানা গেছে, এই হাসপাতালটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। তবে প্রথম থেকেই হাসপাতালটিতে যন্ত্রপাতি কেনায় মোটা অঙ্কের দুর্নীতি ছিল। একই ভবনে দুটি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আলাদা হিসাব জমা দেওয়া হয়। ১ হাজার শয্যার হাসপাতালের জন্য কেনাকাটায় ৭১ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যেখানে লিস্ট দেওয়া হয় ৮৯ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জামের। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২৫০ শয্যার জন্য ৬৯ কোটি ৭৫ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা প্রস্তাব দেওয়া হয়। ৪৪ ধরনের চিকিৎসা ও সহচিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার কথা বলা হয় সেখানে।

জানা যায়, হাসপাতালের জন্য মেডিসিন ও ইলেক্ট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট চাহিদাকরণ প্রসঙ্গে দুটি আলাদা স্মারকও দেওয়া হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।  

১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদাপত্র দেওয়া বিবরণীতে দেখা যায়, বালিশ থেকে শুরু করে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন পর্যন্ত প্রায় ৮৯ ধরনের সরঞ্জাম চাওয়া হয়। এর মধ্যে ৫০টি ইলেক্ট্রিক কেটলি, ৫০টি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ট্রলি, ১ হাজার ম্যাট্রেস, ১ হাজার বালিশ, ২ হাজার রোগীর পোশাকের কোনো মূল্য ধার্য করা হয়নি। বাকি ৮৪ ধরনের পণ্যের মূল্য ধরা হয় ৭১ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। এসব হিসাবে তালগোল পাকানোর জেরেই একপর্যায়ে হাসপাতালের কাজ থেমে যায়।  

সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যা সংকট ও নানা সমালোচনার মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশন যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্তে ডা. নাসিরকে দায়িত্ব দিয়ে তড়িঘড়ি পুনরায় হাসপাতালটি প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়।

গত ৬ এপ্রিল হাসপাতালের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ঢাকার সব হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছি। আড়াই হাজার শয্যাকে ৫ হাজার করা হয়েছে, এরচেয়ে বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়।

বসুন্ধরা হাসপাতালটি হঠাৎ করেই উধাও: লন্ডনের এক্সেল এক্সিবিশন সেন্টারের নাইটিঙ্গেল হাসপাতাল ও মাদ্রিদের আইএফইএমএ কনভেনশন সেন্টারের আদলে ২১ দিনে তৈরি করা রাজধানীর বসুন্ধরা করোনা হাসপাতালটি হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে। ৩১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি নির্মাণ করেছিল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

গেলো বছরের ১৭ মে রাজধানীর তিনশ ফিট এলাকায় ২০১৩ বেডের একটি আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তখন বলেছিলেন, এত অল্প সময়ে এত বিশাল একটি হাসপাতাল আর কেউই নির্মাণ করতে পারেনি। ঠিক ১০ মাস পর এসে এখন সংক্রমণের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। হাসপাতালে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না, ২-৩ দিন ঘুরেও বেড পাচ্ছেন না রোগীরা।  

অসহায় রোগীদের যখন এই অবস্থা তখন কোথায় সেই ২ হাজার বেডের আইসোলেশন সেন্টার-এই প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছেই। আইসোলেশন সেন্টারের জায়গায় এখন বিরান ভূমি।

জানতে চাইলে সেখানকার কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, আজ থেকে ৪ মাস আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে।

করোনা রোগীদের সেবা দিতে তৈরি করা হাসপাতালটি এখন কোথায় গেলো জানতে চাইলে বসুন্ধরার কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ সরকার বলেন, আমরা তো হাসপাতাল উধাও করার মালিক নই। এটা তো অধিদপ্তরের পরিচালক ভালো বলতে পারবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বসুন্ধরা গ্রুপের সমন্বয়হীনতার কারণেই মূল হাসপাতালটি তৈরির উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ঝকঝকে সাজানো-গোছানো ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতালটিতে ছয় ক্লাস্টারে ১ হাজার ৪৮৮টি বেড ছিল। তিনটি কনভেনশন হলে রয়েছে ৫২৫টি বেড। এত সব কিছু প্রস্তুত থাকার পর এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন সর্বসাকুল্য ৩৫ জন রোগী।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাইরে তাঁবু দিয়ে যে আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছিল তার কিছুই নেই।

সেখানকার কর্মকর্তারা বলেন, হাসপাতালটি ছিল বিচ্ছিন্ন জায়গায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয়। বাইরে কোনো ওষুধের দোকান, খাবারের দোকান নেই। অনেকে জানেই না এ ধরনের জায়গায় হাসপাতাল আছে। অনেকে মনে করে এটি বেসরকারি হাসপাতাল। কারণ এর পাশেই সাবেক অ্যাপোলের মতো ব্যয়বহুল হাসপাতাল। এ কারণে এখানে রোগীরা আসতে চায়নি।

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, হাসপাতাল প্রস্তুতের পর বসুন্ধরা গ্রুপের স্বেচ্ছাচারিতায় বিব্রত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এমনকি যে উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালটি প্রস্তুত করা হয়েছিল সেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়েও তারা সমস্যায় পড়ছেন বলে জানিয়েছেন।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের ভবনগুলো করোনা চিকিৎসার জন্য দিলেও তারা যেন সবকিছুই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন। যেকোনো বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার উপায় ছিল না।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখা ও বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টারের সহকারী পরিচালক ডা. মো. হাবীব ইসমাইল ভুইয়া বলেন, অন্য হাসপাতাল থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে রেফার হয়ে এসে শেষের ১০ দিন যেন রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে- এ লক্ষ্যে এই আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এই ‘রেফারিং’ সিস্টেমটা ঠিকমতো হয়নি। তাছাড়া বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে অনেক বিষয়ে আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারিনি।

You Might Also Like

আবু সাঈদ হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল হচ্ছে না আজ

মুরাদনগরের ঘটনায় কঠোর শাস্তি চান জামায়াত আমির

মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ঢাকা থেকে গ্রেফতার

বিএনপির চীন কূটনীতি, একাধিক সফর কী বার্তা দিচ্ছে?

চার ব্যাংকেই তারল্য সহায়তা ৪০ হাজার কোটি টাকা

সিনিয়র এডিটর এপ্রিল ১৩, ২০২১ এপ্রিল ১৩, ২০২১
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

প্রকাশক ও সম্পাদক– আলি আবরার 

নিউজরুম – শেরে বাংলা রোড, নিরালা, খুলনা

যোগাযোগ–  ৮৮০২৪৭৮৮৪৫৩২৬

 protidinshebok@gmail.com, mail@protidinshebok.com

Protidin Shebok NewsportalProtidin Shebok Newsportal

Developed by Proxima Infotech and Ali Abrar

Welcome Shebok Admin

SIgn in Protidin Shebok as an Administrator

Lost your password?