বাজারে ডিমের দাম আবার বাড়ছে। বড় বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম উঠেছে প্রতি হালি ৪৫ টাকায়। আর পাড়া–মহল্লার মুদিদোকান থেকে ডিম কিনতে লাগছে হালিতে ৫০ টাকা। এক মাস আগে এ দর ৫৫ টাকায় উঠেছিল। পরে যা কমে ৪০ টাকা বা এর নিচে নামে।
ডিমের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগির দামও। সবজিও এখন কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অন্য কোনো পণ্যের দামে তেমন হেরফের নেই। সার্বিকভাবে বাজারদর বেশ চড়া।
ডিমের দাম গত মাসে ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার খামারমালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর দ্রুত দাম কমে গিয়েছিল। অবশ্য আগের পর্যায়ে নামেনি। বাজারে ডিমের দাম সাধারণত প্রতি হালি ৩২ থেকে ৩৬ টাকা।
মুরগির দামও গত মাসে ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ব্রয়লার মুরগির দর ওঠে প্রতি কেজি ২১০ টাকায়, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেশি। এ মাসের শুরুতে দরটি ১৫০ টাকায় নেমে যায়। এখন দর উঠেছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। ফার্মের সোনালি জাতের মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়।
বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল করতে একটি চক্র সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই চক্রকে থামাতে হবে। এ জন্য নিয়মিত বাজার তদারকির বিকল্প নেই। তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এর আগেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তখন সরকারের পদক্ষেপে দাম কমে যায়।
গরুর মাংস কেনা যাচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। আর মানভেদে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। চাষের রুই মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙাশ ও তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পিএসএন/এমআই