বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকেন্দ্র ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্থানান্তর করে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনারপাড়া এলাকায় মর্টারগুলো এসে পড়ে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা। আহতদের মধ্যে ইকবাল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বশর মুঠোফোনে জানিয়েছেন, আমরা রাতেই প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসেছি। পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রের ৪১৯ জন পরীক্ষার্থী এখানে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নেবে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য দুটি বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে উখিয়া থানা।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ঢটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত এবং বিদ্যালয়টি চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত। তাই বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা বিবেচনা করে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীকে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। এদিকে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটিতে মোট ৪৯৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে বলে জানা যায়।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন সঠিক সময়ে নিরাপদে পরীক্ষার হলে আসতে পারে, সেজন্য দুটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।