মগবাজারের ওয়ারলেস গেটের বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি নিখোঁজ ওই ভবনের কেয়ারটেকার মো. হারুনের বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এর আগে রোববার বিস্ফোরণের পর থেকে তার মেয়ে হেনা বেগম বাবার ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরছিলেন। অর্থাৎ বিস্ফোরণের ৪৪ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার হলো।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) বেলা ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমাদের একটি টিম আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হচ্ছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহটি ওই ভবনে দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকারের। বিস্ফোরণের সময় থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
মরদেহ উদ্ধারের সময় ওই কেয়ারটেকারের মেয়ে হেনা বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘আমার বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তাকে আমরা এভাবে পাব, এটা কল্পনাও করতে পারিনি। আমাদের এখন কী হবে, কী করবো, কিছু বুঝছি না।’
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের শো-রুম লাগোয়া ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এ নিয়ে আটজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি মানুষ।
আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।