
২২ গজে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। তবে আগের মতো সেই উত্তাপ আর দেখা যায় না। যার পেছনে রয়েছে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক। আইসিসি বা এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দলের লড়াই দেখা যায় না। তবে আসন্ন এশিয়া কাপের আগে আবারো দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। আজ কলম্বোতে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে দাপটের সঙ্গে লজ্জায় ডুবিয়ে ১২৮ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এমন বড় জয়ে এশিয়ার যুবাদের চ্যাম্পিয়ন হলো বাবর আজমের উত্তরসূরিরা।
৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন সাই সুদর্শন ও অভিষেক শর্মা। ২৯ রানে সাই ফিরে গেলেও অর্ধশতক তুলে নেন অভিষেক। ৫১ বলে ৬১ রান করে আউট হন তিনি।
অধিনায়ক ধুল ৩৯ রান করে আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। পাকিস্তানি বোলারদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারেননি আর কোনো ভারতীয় ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৪০ ওভারে ২২৪ রানে থামে ভারত।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে তিন উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। দুটি করে উইকেট নেন মেহরান মুমতাজ, আরশাদ ইকবাল ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।
এর আগে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারত অধিনায়ক যশ ধুল। ধুলের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাঈম আইয়ুব ও সাহেবজাদা ফারহান। ওপেনিংয়ে জুটিতে দুই ব্যাটার তোলেন ১২১ রান। আইয়ুব ৫৯ ও ফারহান ৬৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন।
পাকিস্তানের হয়ে শতক তুলে নেন তাইয়েব তাহির। ৭১ বলে ১২ চার ও চার ছক্কায় ১০৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা তাহিরকে আউট করেন রাজবর্ধন। এছাড়া উমাইর ইউসুফ ও মুবাশ্বির খান দুজনই খেলেন ৩৫ রানের দুটো কার্যকরী দুটো ইনিংস। দুই হাফসেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরিতে ভর দিয়ে পাকিস্তান পায় ৩৫২ রানের বড় সংগ্রহ। ভারতের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট পান রাজবর্ধন ও রিয়ান পরাগ।


