বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। উনবিংশ শতাব্দির বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মহাকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাগরদাঁড়ির মধুকবির জন্মবার্ষিকী ভার্চুয়ালের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মোঃ তজিমুল ইসলাম খান। এছাড়া মধুকবির জীবনীর ওপর জুমের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে মধুকবির আবক্ষে পুষ্পার্ঘ অপর্ণ করা হবে। মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে এবার কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জমিদার রাজ নারায়ণ দত্ত ও মাতার নাম জাহ্নবী দেবী। মধুসূদন স্কুল জীবনের শেষে কলকাতার হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। এ কলেজে অধ্যায়নকালে ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি তার তীব্র অনুরাগ জন্মে। ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হন। তখন তার নামে প্রথম যোগ হয় ‘মাইকেল’। পাশ্চাত্য জীবন যাপনের প্রতি প্রবল ইচ্ছা এবং ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য সাধনায় তীব্র আবেগ তাকে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় উদ্বুদ্ধ করে। পরবতীকালে জীবনের বিচিত্র কষ্টকর অভিজ্ঞতায় তার অমর কীতি ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্য। তার অন্যান্য কাব্য গ্রন্থের মধ্যে তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য ও চতুর্দ্দশপদী কবিতা তার নাটক কৃষ্ণকুমারী, শমিষ্ঠা, পদ্মাবতী এবং প্রহসন ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘারে রোঁ’।
বাংলা অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও সনেট প্রবর্তন করে তিনি যোগ করেছেন নতুন মাত্রা। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুন কবি কলকাতার দাতব্য চিকিৎসালয়ে কপর্দকহীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এ মহাকবির জন্ম দিনে আজ তার জন্মভূমি যশোরের সাগরদাঁড়িতে ‘সপ্তাহ মধুমেলা’ মহামারী করোনার কারনে স্থগিত করেছেন জেলা প্রশাসন। তবে আজ বিকেল ৩ টা ১৫ মিনিটের সময় যশোর জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভার্চুয়াল কবির জীবনীর উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তা ছাড়া কবির জীবনীর উপর যশোর থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিক সংবাদ পত্রগুলো বিশেষ ‘ক্রোড়পত্র’ প্রকাশ করবে।
পিএসএন/এমআই

