এই সাইটটি ভিজিটের মাধ্যমে এই সাইটের সকল প্রাইভেসি শর্তসমূহ আপনি সমর্থন করছেন
Accept
Protidin Shebok NewsportalProtidin Shebok Newsportal
Notification Show More
Aa
  • জাতীয়
    • ঢাকা
    • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খুলনা বিভাগ
    • উপজেলা
    • খুলনা জেলা
    • বাগেরহাট
    • সাতক্ষীরা
    • যশোর
    • মাগুরা
    • চুয়াডাঙ্গা
  • খেলাধুলা
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • রুপচর্চা
    • ধর্ম
    • সফলদের গল্প
    • রাজনীতি
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • আদালত
    • চাকরি-বাকরি
    • টেক নিউজ
    • বিচিত্র
    • ফিচার
  • বিনোদন
Reading: “মেইনস্ট্রিম” মিডিয়ার সংকট ও “অল্টারনেটিভ” মিডিয়ার উত্তরণ
Aa
Protidin Shebok NewsportalProtidin Shebok Newsportal
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • খুলনা বিভাগ
  • খেলাধুলা
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
  • বিনোদন
খুঁজুন
  • জাতীয়
    • ঢাকা
    • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খুলনা বিভাগ
    • উপজেলা
    • খুলনা জেলা
    • বাগেরহাট
    • সাতক্ষীরা
    • যশোর
    • মাগুরা
    • চুয়াডাঙ্গা
  • খেলাধুলা
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • রুপচর্চা
    • ধর্ম
    • সফলদের গল্প
    • রাজনীতি
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • আদালত
    • চাকরি-বাকরি
    • টেক নিউজ
    • বিচিত্র
    • ফিচার
  • বিনোদন
Follow US
Protidin Shebok Newsportal > Blog > অন্যান্য > সম্পাদকীয় > “মেইনস্ট্রিম” মিডিয়ার সংকট ও “অল্টারনেটিভ” মিডিয়ার উত্তরণ
সম্পাদকীয়সাক্ষাৎকার-ও-মতামত

“মেইনস্ট্রিম” মিডিয়ার সংকট ও “অল্টারনেটিভ” মিডিয়ার উত্তরণ

Last updated: ২০২৫/০৪/০৬ at ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ
সিনিয়র এডিটর Published এপ্রিল ৬, ২০২৫
Share
SHARE

তথ্যের এই আধুনিক যুগে মিডিয়া কেবলমাত্র সংবাদ প্রচারের মাধ্যম নয়, বরং এটি একটি সামাজিক শক্তি, মতপ্রকাশের প্ল্যাটফর্ম এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তবে যখন মূলধারার বা ‘মেইনস্ট্রিম’ মিডিয়া একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং কর্পোরেট স্বার্থের সাথে খাপ খাওয়াতে নিজেদের স্বকীয়তা ও দায়িত্ববোধের কথা ভুলে যাই তখন আসলে তথ্যের ভারসাম্যতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে ওঠে।

ঠিক এই জায়গাতেই বিকল্পধারার বা ‘অল্টারনেটিভ’ মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিশেষত বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে যেখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমন্বিত কণ্ঠস্বর প্রায়শই মূলধারায় উপেক্ষিত থাকে, সেখানে বিকল্পধারার মিডিয়া হয়ে ওঠে সমস্যা সমাধান ও মাটি ও মানুষের ভাবনা তুলে ধরার এক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।

“অল্টারনেটিভ মিডিয়া” বা বিকল্পধারার গণমাধ্যম শব্দটি শুধু ‘মেইনস্ট্রিম’ বাঁ মূলধারার বাইরে থাকা মিডিয়াকে বোঝায় না, বরং এটি এক ধরনের চলমান ঘটনার মুদ্রার আরেকপাশে যা হচ্ছে সেটা তুলে ধরার পাশাপাশি বিকেন্দ্রীকৃত তথ্যপ্রবাহের ধারণাকে ধারণ করে।

এটি সাধারণত ছোট পরিসরে, ব্যবসায়িক স্বার্থ সিদ্ধির নগণ্য উদ্দেশ্য ছাড়াই এবং বঞ্চিত জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে পরিচালিত হয়। বিকল্পধারার মিডিয়ার ধারণাকে তাত্ত্বিকভাবে বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা উঠে আসে। যেমন,

বিশ্বখ্যাত মার্কিন ভাষাতত্ত্ববিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নোয়াম চমস্কি ও এডয়ার্ড এস হারম্যানের প্রোপাগান্ডা মডেল বলছে মূলধারার গণমাধ্যম সব সময়ই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আনুগত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাদের মতে, কর্পোরেট মালিকানাধীন মিডিয়া জনগণের স্বার্থ নয় বরং ক্ষমতাধর গোষ্ঠীর স্বার্থকে ধারণ করতে অনেক সময়ই পূর্ণ সত্য প্রকাশ না করে বরং আংশিক সত্যকে প্রচার করে। কিন্তু এর বিপরীতে অল্টারনেটিভ মিডিয়া কর্পোরেট জগতের ব্যবসায়িক লোভকে পাশ কাটিয়ে নিজস্বতা, স্থানীয় ঘটনার পরিপূর্ণ বাস্তবতা এবং কন্ঠহীনের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে।

আবার হ্যাবারমাসের পাবলিক স্ফিয়ার তত্ত্ব অনুযায় একটি আদর্শ গণতান্ত্রিক সমাজে জনগণের মধ্যে যুক্তিক আলোচনার মাধ্যমে মত বিনিময়ের সুযোগ থাকা উচিত। অল্টারনেটিভ মিডিয়া এই “পাবলিক স্ফিয়ার”-কে সম্প্রসারিত করে, যেখানে প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষ যারা সবসময়ই মূলধারার মিডিয়ায় অবাঞ্চিতই থেকে যায় তাদের কণ্ঠস্বরগুলো স্থান পায়।

এই তাত্ত্বিক ভিত্তিগুলো অল্টারনেটিভ মিডিয়ার গুরুত্ব ও বৈচিত্র্য বোঝাতে পুরোপুরি সাহায্য না করলেও অনেকাংশেই বুঝিয়ে থাকে।

কারা অল্টারনেটিভ মিডিয়া?

অল্টারনেটিভ মিডিয়ার পরিধি বিস্তৃত এবং এটি নানা রূপে ও মাধ্যমে আবির্ভূত হয়। মূলধারার বড় মিডিয়া হাউজ, টেলিভিশন কিংবা কর্পোরেট নিউজ পোর্টালের বাইরে যে সমস্ত উদ্যোগ জনগণের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, মতামত ও তথ্য চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে, তারাই অল্টারনেটিভ মিডিয়া। এক্ষেত্রে লোকাল পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল অল্টারনেটিভ মিডিয়ার একটি ব্যাপক বড় উৎস।

কমিউনিটি রেডিও 

বাংলাদেশের মতো দেশে কমিউনিটি রেডিও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য অন্যতম কার্যকর মাধ্যম। এটি স্থানীয় ভাষা, সংস্কৃতি ও সমস্যার উপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট তৈরি করে, যা মানুষকে তথ্যের পাশাপাশি সক্রিয় নাগরিক হওয়ার সুযোগ দেয়।

সিটিজেন জার্নালিজম

সাধারণ জনগণই যখন সংবাদ সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রচারে অংশ নেয়, তখন তা হয়ে ওঠে নাগরিক সাংবাদিকতা। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের কারণে এটি এখন সহজলভ্য ও শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

লোকাল অনলাইন নিউজ পোর্টাল/প্রিন্ট পত্রিকা 

অনেক জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে এমন সংবাদমাধ্যম গড়ে উঠেছে যারা স্থানীয় রাজনীতি, উন্নয়ন, দুর্নীতি কিংবা মানবিক গল্পগুলো তুলে ধরছে, যা জাতীয় গণমাধ্যমে স্থান পায় না।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক উদ্যোগ 

ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, ব্লগ বা ইনস্টাগ্রামেও এখন বহু অল্টারনেটিভ কনটেন্ট নির্মাতা সমাজের অনালোচিত বিষয়গুলোকে তুলে ধরছেন। তাদের অনেকেই নিরপেক্ষ, দায়িত্বশীল ও সমাজমুখী সাংবাদিকতার মানদণ্ডে দাঁড়িয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অল্টারনেটিভ মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তা ও ইতিবাচক ভূমিকা

স্বাধীনতার ৫৫ বছরে বাংলাদেশের গণমাধ্যম একদিকে যেমন সমৃদ্ধ ও পথিকৃৎ হবার কথা ছিলো তেমনটি হয়নি বরং রাজনৈতিক ও কর্পোরেট প্রভাবের বাইরে থাকতে পারেনি। জাতীয় টেলিভিশন, দৈনিক সংবাদপত্র কিংবা বড় অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো প্রায়শই ক্ষমতাসীনদের পক্ষে কথা বলে যেখানে বিরোধী মতকে জায়গাই দেয় না। এই বাস্তবতায় বিকল্পধারার মিডিয়ার আবির্ভাব এবং টিকে থাকা কোনো নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। একইসাথে টিকিয়ে রাখাও আমাদের দায়িত্ব

অল্টারনেটিভ মিডিয়া এমন সব মানুষের কথা বলে, যারা মূলধারার মিডিয়ায় প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায় না—যেমন গ্রামীণ কৃষক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, শ্রমিক, নারী ও আদিবাসী জনগোষ্ঠী। এরা প্রত্যেকে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও প্রায়ই “নিউজডিজার্ট” বা তথ্যশূন্য অঞ্চলে বসবাস করেন। এছাড়া উন্নয়নমূলক প্রকল্পে স্থানীয় দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বাস্তব চিত্র, যুব সমাজের বেকারত্ব ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে যা ঢাকার পত্রিকায় আসে না, কিন্তু একটি লোকাল অনলাইন পোর্টাল তা তুলে ধরতে পারে। এর মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের জবাবদিহিতাও বাড়ে। আবার অল্টারনেটিভ মিডিয়া অবশ্যই একমুখী নয় বরং এটি ইন্টার‍্যাকটিভ। এটি নাগরিকদের কেবল পাঠক বা দর্শক হিসেবে রাখে না, বরং তাদের মতামত, প্রশ্ন ও তথ্যও গ্রহণ করে। এতে করে গণতন্ত্র চর্চা হয় ‘টপ-ডাউন’ নয়, বরং ‘বটম-আপ’ ধাঁচে।

এ ধরনের সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব বুঝতে হলে তাকাতে হবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে মিডিয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করে, যা জাতীয় মূলধারার একচেটিয়াতার বিরুদ্ধে একটি ভারসাম্য তৈরি করে।

মূলধারার মিডিয়ার পক্ষপাত ও সংকট

গণমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত হলেও, বাস্তবে অনেক সময় এটি ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে মূলধারার মিডিয়া যখন কর্পোরেট বা রাজনৈতিক মালিকানায় পরিচালিত হয়, তখন তাদের নিরপেক্ষতা ও দায়িত্ববোধ প্রশ্নের মুখে পড়ে। বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশে এই প্রবণতা বেশ লক্ষণীয়।

মালিকানার কেন্দ্রীকরণে নজর দিতে হবে 

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি বড় অংশ কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে। এরা রাজনৈতিক ক্ষমতার কাছাকাছি থাকায় সংবাদ পরিবেশনায় স্বার্থবিরোধ ঘটে, সমালোচনার জায়গায় আসে প্রশংসা, সত্যের জায়গায় তৈরি হয় প্রোপাগান্ডা।

রাজনৈতিক পক্ষপাত ও নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা জরুরী 

প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার অনেক অংশই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শে অনুগত হয়ে পড়েছে। সরকার বিরোধী বক্তব্য মানেই যে দেশবিরোধী নয় এই সামান্য জিনিসটাই আমাদের দেশের সরকার যেমন বুঝতে চায়না তেমনই মিডিয়ায় তা প্রায়ই প্রকাশ পায় না, কিংবা প্রকাশ পেলেও তা বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়। সাংবাদিকদের অনেক সময় আত্মনিয়ন্ত্রণে যেতে হয়, যা প্রকৃত অর্থে সেন্সরশিপেরই আরেক রূপ।

তথ্যবৈষম্য ও শহর-কেন্দ্রিকতাতে ভারসাম্য আনতে হবে

জাতীয় মিডিয়ার খবর ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রায়শই ঢাকা বা বড় শহরকেন্দ্রিক। এতে করে দেশের বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠী—যারা গ্রামে বা ছোট শহরে বাস করেন, তাদের বাস্তবতা খবরের শিরোনামে আসে না। এটি একধরনের তথ্যবৈষম্য সৃষ্টি করে।

এতে অন্তত বুঝা গেলো, কেন মূলধারার মিডিয়ার বিকল্প হিসেবে অল্টারনেটিভ মিডিয়ার প্রয়োজন রয়েছে, এবং কেন এদের আরও শক্তিশালী করা জরুরি। 

যেভাবে অল্টারনেটিভ মিডিয়া গঠনমূলক ও পজিটিভ ভূমিকা রাখতে পারে

অল্টারনেটিভ মিডিয়া শুধু মূলধারার ব্যর্থতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় না—বরং সে নিজেই হয়ে ওঠে একটি গঠনমূলক শক্তি। এই শক্তি শুধু সমালোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি তথ্য, সচেতনতা, অংশগ্রহণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কার্যকর মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে। প্রশ্ন হলো—কীভাবে?

বাংলাদেশে অনেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছোট ছোট পত্রিকা বা অনলাইন নিউজ পোর্টাল গড়ে উঠেছে, যেগুলো হয়তো খুব বড় পরিসরে চলে না, কিন্তু স্থানীয় জনগণের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তারা ইউনিয়ন পর্যায়ে রাস্তাঘাট, স্কুলের দুর্দশা, স্থানীয় দুর্নীতি, নির্বাচনের অনিয়ম বা কৃষকদের সমস্যা তুলে আনে, যেগুলো ঢাকার গণমাধ্যমে স্থান পায় না।

স্থানীয় প্রশাসনের জবাবদিহিতা তৈরি 

লোকাল মিডিয়া যখন সরাসরি স্থানীয় প্রশাসনের দুর্বলতা বা অবহেলা তুলে ধরে, তখন তা দ্রুত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। অনেক সময় বড় মিডিয়া যেখানে নিরব, সেখানেই ছোট একটি লোকাল পত্রিকার রিপোর্ট প্রশাসনের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ব্যর্থতা।

সার্বিকভাবে, লোকাল মিডিয়া হচ্ছে অল্টারনেটিভ মিডিয়ার সবচেয়ে মাটির কাছাকাছি রূপ। এটি জনগণের সংবাদ নিজের ভাষায়, নিজের কণ্ঠে, নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী তুলে ধরে—এটাই অল্টারনেটিভ মিডিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি।

মিডিয়া লিটারেসি ও প্রশিক্ষণের প্রসার 

জনগণের মধ্যে মিডিয়া বিষয়ে সচেতনতা এবং কনটেন্ট তৈরি ও যাচাইয়ের দক্ষতা বাড়ালে অল্টারনেটিভ মিডিয়ার মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় বা এনজিও ছোট প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন নাগরিক সাংবাদিক বা লোকাল কন্টেন্ট নির্মাতা তৈরি করতে পারে।

প্রযুক্তির ব্যবহার ও সহজলভ্যতা

মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের কারণে এখন মিডিয়া উৎপাদন অনেক সহজ। অল্টারনেটিভ মিডিয়া এই প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে যেন আরও কার্যকর ও দৃশ্যমান হয়, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

বিভিন্ন ভাষা ও স্থানীয় কনটেন্টে জোর

বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগণ অনেক সময় শুদ্ধ বাংলার সংবাদ পুরোপুরি বোঝে না। স্থানীয় উপভাষা বা অঞ্চলের ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করে অল্টারনেটিভ মিডিয়া একটি বৃহৎ শ্রোতা গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

মূলধারার মিডিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাওয়ার পেছনে রয়েছে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব। অল্টারনেটিভ মিডিয়া যদি দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বজায় রাখে, তবে সাধারণ মানুষ এই মিডিয়াকে তাদের কণ্ঠস্বর হিসেবে গ্রহণ করবে।

এইভাবে অল্টারনেটিভ মিডিয়া শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, বরং এটি একটি প্রস্তাব—একটি সামাজিক চুক্তি, যেখানে মানুষ নিজের গল্প নিজেই বলার অধিকার রাখে।

সর্বোপরি, অল্টারনেটিভ মিডিয়াকে মূলধারার গণমাধ্যমের পরস্পর সাংঘর্ষিক না ভেবে বরং দুটোই কিভাবে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে সেটা ভাবা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা জরুরী। অবশ্যই মূলধারার গণমাধ্যম বেশি গুরুত্ব দিতে হবে কিন্তু বিকল্পধারার মিডিয়াকে উপেক্ষা করে নয়।

সাকিবুর রহমান

শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ, এনইউবিটি খুলনা

স্টাফ রিপোর্টার, প্রতিদিন সেবক ডটকম

You Might Also Like

টেকসই উন্নয়নে নারী শিক্ষা

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ

বাস্তবের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মূল্যায়ন—এক আত্মঘাতী আসক্তি

সাংবাদিকদের কল্যাণে বর্তমান সরকারের বিশেষ উদ্যোগ

বায়ু দূষণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

সিনিয়র এডিটর এপ্রিল ৬, ২০২৫ এপ্রিল ৬, ২০২৫
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

প্রকাশক ও সম্পাদক– আলি আবরার 

নিউজরুম – শেরে বাংলা রোড, নিরালা, খুলনা

যোগাযোগ–  ৮৮০২৪৭৮৮৪৫৩২৬

 protidinshebok@gmail.com, mail@protidinshebok.com

Protidin Shebok NewsportalProtidin Shebok Newsportal

Developed by Proxima Infotech and Ali Abrar

Welcome Shebok Admin

SIgn in Protidin Shebok as an Administrator

Lost your password?