
ফুটবলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই পরিচিত। লাতিন আমেরিকার এ দুই দেশের ভক্ত সমর্থকরাও একে অপরের হার জিতের হিসাব নিকাশ আর দুর্বলতা খুজতেই ব্যস্ত থাকেন। তবে এ দুই দেশের ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছে দারুণ প্রীতি। আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক লিওনেল মেসির সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়রের সখ্যতার কথা তো সবাই জানে। এবার ফুটবল জাদুকরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আরেক সেলেসাও তারকা ক্যাসেমিরো।
দেশের মত ক্লাব ফুটবলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীই ছিলেন এ দুই তারকা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দীর্ঘ সময় বার্সেলোনায় কাটিয়েছেন মেসি, অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের মাঝমাঠের প্রাণ ছিলেন ক্যাসেমিরো। দুজনই এ দুই ক্লাবের হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন। কালের পরিক্রমায় উভয়ই এখন খেলেন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে।
কাতার বিশ্বকাপে মেসি বিশ্বসেরা হলেও টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট হয়েও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে ব্রাজিলকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেসির প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন ক্যাসেমিরো। তিনি বলেন, ‘আমি পেলে ম্যারাডোনার খেলে দেখিনি, তবে সময়ের সেরা ফুটবলারের খেলার সাক্ষী হতে পেরেছি, তারা হলেন, মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং নেইমার।’
বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলা ব্রাজিলিয়ান তারকা বলেন, ‘মেসি এ যুগের সেরা ফুটবলার, বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার হয়ে সে সবসময় তুমুল প্রতিযোগীতাপূর্ণ ছিল। তাঁর সঙ্গে পেরে ওঠা যেতনা।’ এরপরই ক্যাসেমিরো বলেন, ‘যে ফুটবলকে ভালোবাসে সে অবশ্যই মেসিকেও ভালোবাসে। তাঁর বিপক্ষে খেলতে পারা ছিল সত্যিই আনন্দের।’
এদিকে মেসির প্রশংসা করলেও কাতার বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল ম্যাচও দেখেননি বলে জানিয়েছেন ক্যাসেমিরো। তিনি বলেন, ‘আমি ফাইনাল ম্যাচ দেখিনি। আমাদের হারে পর খুব দুঃখ পেয়েছিলাম এবং প্রায় একমাস আমি ফুটবল দেখিনি, টিভি অন করিনি।


