দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যশোরে তানভীর হাসান (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সোনা মিয়া ও স্বাক্ষর নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে একটি চাকু।
পুলিশের ধারণা মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তানভীর খুন হতে পারেন। তার পকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬১ পিস ইয়াবা।
নিহত তানভীর শহরের শংকরপুর হাজারিগেট কলোনিপাড়ার নির্মাণ শ্রমিক মিন্টু মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার সোনামিয়া ওই এলাকার হাসানের বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং স্বাক্ষর একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে আনসার ক্যাম্পের পেছনে রক্তাক্ত অবস্থায় তানভীরকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিরুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাক্তার সাকিরুল ইসলাম জানান, তানভীরের মাথা, বুক, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই দেবাশীষ জানান, খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে ৬১ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তানভীরকে ছুরিকাঘাত করার পর একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসময় বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। এলাকার একজন সে সময় বাইরে বের হয়ে আল-আমিন এবং মানিক নামে দুই যুবকে দৌড়ে আনসার ক্যাম্পের পেছনের দিকে যেতে দেখেন।
পুলিশ সংবাদ পেয়ে মানিকের বাড়ি এবং আলামিনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালালেও তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
তানভীরের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা সুমাইয়া খাতুন জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে কে বা কারা তার স্বামীকে মোবাইলে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। রাতে জানতে পারেন তিনি খুন হয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনার পর রাতেই কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোনা মিয়া ও স্বাক্ষর নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোনা মিয়ার ভাড়াবাড়ির ছাদ থেকে একটি চাকুও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ধারণা করে বলেন, মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তানভীর খুন হতে পারেন।
শনিবার দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তানভীরের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ছিল।


