যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনবিরোধী অভিযানে আটক ৬ শতাধিক ব্যক্তিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন এক ফেডারেল বিচারক। মানবাধিকার সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য আদালতের এই রায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন ও মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানে আটক ৬১৫ জনকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন এক ফেডারেল বিচারক। বুধবার দেওয়া এই রায়ের পর আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যেই তাদের মুক্তি দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন জাস্টিস সেন্টার (এনআইজেসি) ও আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)–এর দাখিল করা মামলার রায়ে মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক জেফ্রি কামিংস এই আদেশ দেন। এই মামলায় বাদীপক্ষ অভিযোগ করেছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের “অপারেশন মিডওয়ে ব্লিটজ” নামে পরিচালিত অভিযানে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আইসিই বেআইনিভাবে বহু মানুষকে আটক করেছে।
এসিএলইউ ও এনআইজেসি জানায়, গত জুনে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে অন্তত ৩ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ১০০ জন স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে ধারণা করছে সংগঠনটি।
বিচারক কামিংসের নির্দেশ অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক আটকাদেশ নেই এবং যারা সমাজের জন্য কোনো বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করেন না, তাদের সবাইকে মুক্তি দিতে হবে।
এনআইজেসি–এর আইনজীবী মার্ক ফ্লেমিং বলেন, “মোট ৬১৫ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে এটি বাস্তবে কীভাবে কার্যকর হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন। কারণ অনেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছেন।”
অবশ্য মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা দপ্তর এই রায়ের তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে।
সংস্থার মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রতিটি ধাপে কিছু কর্মীসুলভ বিচারক, আশ্রয়প্রদানকারী রাজনীতিক ও সহিংস দাঙ্গাকারীরা আইন প্রয়োগে বাধা দিয়েছে। এখন একজন ‘অ্যাক্টিভিস্ট বিচারক’ ৬১৫ অবৈধ অভিবাসীকে মুক্তি দিয়ে মার্কিন নাগরিকদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন।”
অবশ্য স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা দপ্তর আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি না সেটা এখনও জানায়নি। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবীরা শুক্রবার পর্যন্ত সময় চেয়ে রায়ের স্থগিতাদেশের আবেদন করেছেন।


