কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী শফিউল্লাহ কাটা ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কাঁটাতারের ভেতরে বসবাসরত স্থানীয়দের ১৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তার মধ্যে ৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বাকি ৬টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের অভিযোগ, এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ালেও এখনো পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়রা হলেন- গিয়াস উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, মমতাজ বেগম, ছেনুয়ারা বেগম, মনজুর আলম, ফরিদ আলম, ফয়েজ আহমদ ও ফকির আহাম্মদ। তারা সবাই শফিউল্লাহ কাটা ১৬নং ক্যাম্পের স্থানীয় বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-২ ও বি-১ ব্লকে বসবাসরত স্থানীয়দের ১৪টি বাড়ি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়রা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় শাহিনা আক্তার বলেন, গতকাল বিকেলে হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। মুহূর্তে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের খুঁজে ছুটে যায়। তার মধ্যে নগদ টাকা, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, পাসপোর্টসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গতকাল থেকে সকাল পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাইনি।
ইউপি সদস্য মফিদুল আলম সিকদার বলেন, আমার ওয়ার্ডের শফিউল্লাহকাটা ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত স্থানীয়দের ৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আরও ৬টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গতকাল থেকে শুকনা খাবার,কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে উখিয়ার সীমান্তবর্তী পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পিএস/এনআই