ব্যতিক্রমধর্মী গল্পে নির্মিত ‘লাপাতা লেডিস’ মুক্তির পর থেকেই দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। আমির খানের প্রযোজনা ও কিরণ রাও নির্মিত ছবিটি অস্কার মঞ্চে সেরা বিদেশি ভাষার ছবি বিভাগে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছিল। কয়েকদিন আগে ‘লাপাতা লেডিস’এর বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ ওঠে। এবার এ ছবির অভিনেত্রী ছায়া কদমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি অভিনেত্রীর এক সাক্ষাৎকারের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আইনি জটিলতায় পড়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে ছায়া কদম বলেন, ‘সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী হরিণ, খরগোশ, বন্য শূকর, গুইসাপ এবং শজারু ইত্যাদির মাংস খান।’
এই বক্তব্যের জেরে মুম্বাই-ভিত্তিক এনজিও ‘প্ল্যান্ট অ্যান্ড অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ (পি এ ডাবলু এস) অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী শিকারে জড়িত থাকায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
‘লাপাতা লেডিস’-এর ফুল, কনটেন্ট ক্রিয়েটর থেকে নায়িকা হলেন যেভাবে
বলিউড অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে থানের প্রধান বন সংরক্ষক এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছে এনজিওটি। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রোশন রাঠোড় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংবাদমাধ্যকে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, যা তদন্তের জন্য প্রধান বন সংরক্ষক এবং উপ-বন সংরক্ষকের কাছে পাঠিয়েছি। অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।’
প্ল্যান্ট অ্যান্ড অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বন্যপ্রাণী শিকার করে তা মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে জনসাধারণের কাছে ভুল বার্তা দেয় । যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ১৯৭২-এর বিভিন্ন ধারার অধীনে আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত। এছাড়াও জীব বৈচিত্র্য আইন ২০০২-এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলো অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হোক। ওই সাক্ষাৎকারটিকে অপরাধমূলক স্বীকারোক্তি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার এবং ভক্ষণে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে।