
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও পরিচয় মেলেনি ১৯ জনের। নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শেষ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের টিম।এই ১৯ মরদেহ ও নিখোঁজসহ ২৩ জনের বিপরীতে মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ৪২ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য নমুনা নিয়েছে সিআইডি। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলার ডিএনএ টেস্টের পরিচয় শনাক্ত হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো মরদেহ হস্তান্তর করা হবেনা বলে জানিয়েছেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওমর ফারুক।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মরচুয়ারীতে (হিমঘরে) ১৫ টি, চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতাল মরচুয়ারীতে ২ টি ও চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) মরচুয়ারীতে ২ টি মরদেহ রাখা হয়েছে।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওমর ফারুক বলেন, ১৯ টি মরদেহ ও ২৩ জনের বিপরীতে ৪৩ জনের কাছ থেকে মৃতদের দাবিদার বা মিসিংদের স্বজনদের নিকট থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহ দেখে যেহেতু চেনা যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আমরাও মরদেহ হস্তান্তর করতে পারছি না। ডিএন রিপোর্ট পাওয়ার পরে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।
সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে শনিবার (৪ জুন) রাতে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল সোয়া ১১ টার দিকে উদ্ধার কাজের সমাপ্ত ঘোষণা করে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স। এ ঘটনায় ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। তাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।