শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৮৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে উগ্র সমাজতান্ত্রিক যুব ফ্রন্টের কর্মী রয়েছে। অপরদিকে, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস প্রতিরোধ আইনের অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়ারানি করা ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে। খবর পিটিআই এর
খবরে বলা হয়েছে, সমাজতান্ত্রিক যুব ফ্রন্টের কর্মীরা কেন্দ্রীয় কলম্বোর লিপটন সার্কাস থেকে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে কলম্বো ফোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে যেতে শুরু করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের অধিকার প্রয়োগের জন্য মানুষকে আটক করতে সন্ত্রাস প্রতিরোধ আইন ব্যবহার করছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে একদিন আগে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বাসভবন এলাকায় বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে একটি গেজেট প্রকাশ করেন। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা।
প্রেসিডেন্টের গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সংসদের আশপাশের এলাকা, সুপ্রিম কোর্ট কমপ্লেক্স, কলম্বোর হাইকোর্ট কমপ্লেক্স, কলম্বোর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট কমপ্লেক্স এবং অ্যাটর্নি জেনারেল বিভাগ, প্রেসিডেন্টের সচিবালয়, প্রেসিডেন্টের বাসভবন, শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী সদর দফতর এবং পুলিশ সদর দপ্তরকে উচ্চ নিরাপত্তা অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার শক্তিশালী আইনজীবীদের সংগঠন বার অ্যাসোসিয়েশন বলেছে যে, তারা জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন না করা নিশ্চিত করতে গেজেট আদেশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
ওই গেজেটে আইন লঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর বিধানের কথা বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই আদেশের অধীনে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে উচ্চ আদালত ছাড়া জামিন দেওয়া হবে না।
কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে কয়েক মাস আগে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। এরপর দেশটির রাজনৈতিক সংকটও তীব্র হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। কয়েক দেশ ঘুরে অবশেষে শ্রীলঙ্কায় ফিরেছেন তিনি। দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে একটি মন্ত্রিসভা গঠন করে সরকার পরিচালনা করছেন। সংকট মোকাবেলায় আইএমএফসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে তারা।