লোকসানে থাকা পাটকলগুলো পুনরায় সরকারিভাবে চালু না করার পক্ষে মত দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। তারা বলেছে, এসব পাটকল চালু করে সরকারের অর্থ অপচয়ের যৌক্তিকতা নেই।
সোমবার (০৭ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ.বি.তাজুল ইসলাম, আহসান আদেলুর রহমান, ওয়াসিকা আয়শা খান এবং খাদিজাতুল আনোয়ার অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে সভাপতি আব্দুস শহীদ বলেন, তিনটি জুট মিল উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেই পাটকলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন করে সরকারিভাবে পাটকল চালু হবে কী হবে না, এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে। আমরা বলেছি, এগুলো চালু হবে কি না, সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে আমরা মনে করি, যেগুলো লাভজনক নয়, তা চালু করে সরকারের অর্থ অপচয় করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট হলেও কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি না করে। আমাদেরও মনে হয়েছে এগুলো জনস্বার্থে কার্যকর হবে না। কিছু প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল শেষ হলেও কিন্তু বাস্তবায়ন ৫ শতাংশ হয়নি। মন্ত্রণালয়ও যুক্তি দেখিয়েছে। তারা বলেছে, এগুলো প্রয়োজন ছাড়াই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা রিওয়ার্ড ও পানিশমেন্টের সুপারিশ করেছি। বলেছি কেউ দোষ করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে, আবার কেউ ভালো কাজ করলে তাকে পুরষ্কৃত করতে বলেছি।
মুজিবকেল্লার নির্মাণ কাজে অগ্রগতি কম হওয়ার কথা উল্লেখ করে কমিটির সভাপতি বলেন, এ প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি কাঙ্ক্ষিত নয়। অবশ্য বাস্তব সমস্যাও ছিল। বুয়েট যে রিপোর্ট দিয়েছিল, তা সঠিক ছিল না। পরে ডুয়েট থেকে সেটা সঠিকভাবে করা হয়েছে। প্রকৌশলীরা একেকজন একেকভাবে রিপোর্ট দিলে বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের তো সমস্যা হবেই। আমরা ভবিষ্যতে যুক্তিপূর্ণ উপায়ে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে বলেছি।
মন্ত্রণালয়ও যুক্তি দেখিয়েছে। তারা বলেছে, এগুলো প্রয়োজন ছাড়াই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা রিওয়ার্ড ও পাশিনমেন্টের সুপারিশ করেছি। বলেছি কেউ দোষ করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে, আবার কেউ ভালো কাজ করলে তাকে পুরস্কৃত করতে।
কমিটি দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যানবাহন দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
পিএসএন/এমঅাই