
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে সব আইনের ঊর্ধ্বে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, সেনাপ্রধান চাইলে দেশে স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব। এমনটি করার জন্য সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানের অবস্থার উন্নতি হবে যখন আইনের শাসনের জন্য কাজ শুরু হবে। আইনের শাসন শুরু করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ইমরান খান বলেন, ‘আমি আশা করব বর্তমান সেনাপ্রধান একটি স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করবেন। কারণ, সেনাবাহিনী ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে এত ক্ষমতা নেই।’
তিনি বলেন, পার্লামেন্ট নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে, শাহবাজ শরীফের ঘুম হারাম করে দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি পার্লামেন্টে না যাই, তাহলে সরকার রাজা রিয়াজ আহমদ খানকে (বর্তমান পার্লামেন্টের সরকার সমর্থিত বিরোধী দলীয় নেতা) নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ফেলবে।
সরকার দলীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা যোগাযোগ করছে জানিয়ে ইমরান বলেন, মুসলিম লীগ (এন)-এর পার্লামেন্ট মেম্বাররা আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। প্রথমে যাচাই-বাচাই হবে, তারপর তারা আমাদের সাথে যোগ দেবেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান আরো বলেন, সরকার বাজেভাবে আটকে গেছে। অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানোর কথা ছিল, কিন্তু করেনি। তারমানে আইএমএফ ঋণ দিচ্ছে না।
চলতি বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে রাজনৈতিক নীলনকশা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানান ইমরান খান। তাঁর দলের (পিটিআই) ক্ষমতা হ্রাস করার চেষ্টা করা হলে প্রতিরোধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ সময় পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়া নিয়ে কথা বলেন পিটিআই চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, পাঞ্জাবে দলের নেতা-কর্মীদের তাঁর বিরুদ্ধে প্ররোচিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) দলে পিটিআই নেতা-কর্মীদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র: জিও নিউজ ও ডেইলি টাইমস