ভোক্তা সাধারণ যাতে সাশ্রয়ী দামে কিনতে পারে সে লক্ষ্যে ১ কোটি ৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার। সরকারি বিপণনকারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে দেশের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে এই তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩০৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত দর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজারে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯২ টাকা হলেও এর চেয়ে কম দামে পণ্যটি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে টিসিবি। ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে সয়াবিন তেলও বিক্রি করে সংস্থাটি।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বেসরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উল্লিখিত পরিমাণ সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড, সিটি এডিবল অয়েল ও মেঘনা রিফাইনারি লিমিটেড।
জানা যায়, এই তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৫ টাকা লিটার দরে ৫৫ লাখ লিটার করে সয়াবিন তেল কেনা হবে। দুই লিটারের বোতলে এই তেল বাজারজাত করবে টিসিবি।
৯০ হাজার টন সার কেনা হবে
সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির একই বৈঠকে মরক্কো ও কাতার থেকে ৯০ হাজার টন টিএসপি ও ইউরিয়া সার কেনার দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে টিএসপি ৩০ হাজার টন ও ইউরিয়া ৬০ হাজার টন। এই সার কিনতে খরচ হবে ৬৩৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ২২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আমদানি করা হবে।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে চার লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার ২০৬ কোটি টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
জানা যায়, ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১১টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদন দেয়া প্রস্তাবগুলোর মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৯০৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
পিএসএন/এমঅাই