২০২০ সালে বিশ্বে মাদক নিয়ে অসুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। একই বছর সারাবিশ্বে মাদক নিয়েছেন ২৭ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওডিসি) বৃহস্পতিবার বিশ্ব মাদক প্রতিবেদন ২০২১ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের কিছু অঞ্চলে গত ২৪ বছরের মধ্যে শুধু গত বছরেই মহামারির সময় গাঁজা সেবনের হার বেড়েছে চারগুণ। বিশ্বের ৭৭টি দেশের ৪২ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন, গাঁজার ব্যবহার বেড়েছে।
ইউএনওডিসি’র নির্বাহী পরিচালক ঘাডা ওয়ালি বলেন, ‘মাদক ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে কম ধারণা থাকার ব্যাপারটি মাদক ব্যবহারের উচ্চহারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ইউএনওডিসির ২০২১ সালের বিশ্ব মাদক প্রতিবেদনের ফলাফলগুলো তরুণদের সচেতন করতে এবং জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য অনুমান ও বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র জনসংখ্যা পরিবর্তনের হিসাবেই ২০৩০ সালের মধ্যে মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু আফ্রিকাতেই বৃদ্ধি পাবে ৪০ শতাংশ। আফ্রিকায় তরুণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হবে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে ৫.৫ শতাংশ গত বছর একবার হলেও মাদক গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে ৩ কোটি ৬৩ লাখ বা ১৩ শতাংশ মানুষ মাদক নিয়ে মাদক সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
বৈশ্বিকভাবে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে মাদক প্রবেশ করান। এদের মধ্যে অর্ধেকই হেপাটাইটিস সি তে আক্রান্ত। আফিম জাতীয় মাদক (অপিওয়েড) গ্রহণের ফলেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মাদক সংক্রান্ত রোগে ভুগছেন।
অপিওয়েড গ্রহণে অসুস্থদের জন্য বৈশ্বিকভাবে দুটি ওষুধ বেশ সহজলভ্য হয়েছে। এগুলো হল- মেথাডোন আর বুপ্রেনরফিন। ১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই ওষুধের ব্যবহার ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে, বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা অতীতের তুলনায় এখন আরও সহজলভ্য হয়েছে।