আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মেজাজ হারিয়ে লাথি মেরে স্ট্যাম্প ভাঙা, তিন স্ট্যাম্প তুলে আছাড় মারার পর প্রতিপক্ষ কোচের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর ঘটনায় সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব আল হাসান।
শুক্রবার ম্যাচ শেষে এক ফেসবুক পোস্টে সাকিব লেখেন, ‘মেজাজ হারিয়ে সবার জন্য, বিশেষ করে যারা বাসায় বসে খেলা দেখছিলেন তাদের জন্য ম্যাচটার বারোটা বাজানোয় আমি ভক্ত এবং সমর্থকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।আমার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো মোটেই উচিত নয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক সময় না চাইলেও এমনটা হয়ে যায়। আমি সব দল, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্টের কর্মকর্তা এবং আয়োজক কমিটির কাছে এই ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আর এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি হবে না। ধন্যবাদ এবং সবার জন্য ভালোবাসা। ’
ঘটনার সূত্রপাত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) আবাহনী লিমিটেড এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচের আবাহনী ইনিংসের। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৫ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় আবাহনী। এরপর নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে লেগ বিফোরের আবেদন করেন সাকিব।
কিন্তু আম্পায়ার সাকিবের আবেদনে সাড়া না দিলে লাথি মেরে স্ট্যাম্প মোহামেডানের অধিনায়ক। এরপর ওভার শেষে তিন স্ট্যাম্প উঠিয়ে আম্পায়ারের দিকে তেড়ে যান সাকিব। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি বাধায় খেলা স্থগিত হয়ে যায়। মাঠ ছাড়ার সময় ফের ঝামেলায় জড়ান সাকিব।
তিন স্ট্যাম্প উঠিয়ে আম্পায়ারের দিকে তেড়ে যান সাকিব। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি বাধায় খেলা স্থগিত হয়ে যায়। মাঠ ছাড়ার সময় ফের ঝামেলায় জড়ান সাকিব।
বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সাকিবসহ বাকি ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়ছিলেন। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সাকিবকে উদ্দেশ্য করে গালি দেন আবাহনীর কয়েকজন সমর্থক। সাকিবও তাদের পাল্টা গালি দেন। এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডা হয় সাকিবের।
সাকিব যখন আবাহনী সমর্থকদের বকা দিচ্ছিলেন, তখন তার দিকে তেড়ে যান সুজন। তখন সুজনের সঙ্গে সাকিবের তর্ক লেগে যায়। খালেদ মাহমুদ সুজন ভেবেছিলেন, সাকিব তাকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলেছেন। কিন্তু সুজনকে পরে সাকিব বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, আবাহনীর সমর্থকেরা গালি দেওয়ায় তিনি তাদের পাল্টা বলেছিলেন। সুজনকে কিছু বলেননি। এরপর দুজনকেই নিজ নিজ দলের ক্রিকেটার ও স্টাফরা টেনে আলাদা করে।